গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পর চিকিৎসা অবহেলায় কেটেছে ২১ দিন

****** সহপাঠী বিথি আক্তার ইভা পাশের রুমে অবস্থান নিয়ে জোরে গান বাজাতে থাকে। এভাবে ৩দিন তাকে ওই বাড়িতে আটকে রেখে গণধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, নরপশুরা এ ধর্ষণের ভিডিও চিত্রও ধারণ করে। *******

** যে মেয়েটির ছবি দেয় হয়েছে সে বিথি আক্তার ইভা । ইভাই ধর্ষনের সাহায্য কারি **

( আসুন সবাই প্রতিবাদ করি ... অনুগ্রহ করে সবাই পোস্টটা শেয়ার করুন, প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করুন। )

টানা চার দিন গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পর চিকিৎসা অবহেলায় কেটেছে ২১ দিন। এর মধ্যে বাবা তাড়িয়ে দিয়েছে বাড়ি থেকে। মামাবাড়িতে আশ্রয় নিতে গেলে সেখানেও জায়গা হয়নি সমাজের চাপে। অবশেষে সোমবার রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুরের সেই কিশোরী স্কুলছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার মা ও বড় ভাই। প্রায় ১০ ঘণ্টা বারান্দায় থাকার পর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) নতুন বছরের প্রথম রোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলো তার নাম। এখন সে মানসিক ভারসাম্যহীন। ইনজেকশন দিয়েও তাকে ঘুম পাড়াতে পারছেন না চিকিৎসকরা। পুরুষ লোক আর মোবাইল ফোন দেখলেই চিৎকার করে ওঠে সে।

গতকাল ওসিসিতে কথা হয় মেয়েটির মা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে। তার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে কেঁদে ওঠেন মা। কী বলবেন তিনি? উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছেন মেয়েকে। সেখানেও তিনি পাশে পাননি মেয়ের জন্মদাতা বাবাকে। আক্ষেপ ঝরে পড়ে কণ্ঠে। মেয়ের সুস্থতাই এখন তার কাম্য। পাশাপাশি দাবি, তার মেয়েকে নির্যাতনকারী মানুষরূপী দানবদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার।

মেয়েটির বড় ভাই বলেন, সমাজের ভয়ে প্রথমে তারাই চেয়েছিলেন ঘটনাটি লুকাতে। 'বোন ধর্ষিতা'_ এ অপবাদ তারা সইবেন কেমন করে! এ কারণেই তারা মামলা করেননি, এমনকি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থাও গ্রহণ করেননি। তিনি ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, বান্ধবীর বিয়ের কথা বলে গত ৬ ডিসেম্বর ইভা নামে এক মেয়ে তার বোনকে গালা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মধুপুর নিয়ে যায়। মধুপুরের নুরুজ্জামান ওরফে গেদা ভাই নামে পরিচিত এক লোকের বাড়িতে নিয়ে চার-পাঁচ যুবক টানা চার দিন তাকে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে নগ্ন ছবি ধারণ করে। ১০ ডিসেম্বর মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় এক মাইল দূরে রসুলপুর রেললাইনে ফেলে যায়।

প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে রেললাইন থেকে উদ্ধার করে তাকে প্রথমে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন বাড়িতে ছিলেন না দাবি করে মেয়েটির ভাই বলেন, "বোনের শারীরিক অবস্থা দেখে আমার মা দুই দিন পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ডাক্তার বোনকে দেখে ভর্তির যে কাগজ দেন, তাতে 'পুলিশ কেস' সিল দেখে মা ভয় পেয়ে যান। লোকজন জেনে যাবে_ এই ভয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি না করে বাসায় নিয়ে যান।" তিনি আরও বলেন, 'বাসায় নেওয়ার পর বাবা এই খবর জানতে পান। এতে বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে মা ও বোনকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তারা বেরিয়ে না গেলে ১৪ ডিসেম্বর তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। মা-বোনকে নিয়ে দুই মাইল দূরে এলেঙ্গায় মামাবাড়িতে আশ্রয় নেন। তত দিনে বোনের অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। পুরুষ দেখলেই চিৎকার করে উঠত। এ ছাড়া মোবাইল ফোন হাতে কাউকে দেখলেও উন্মাদের মতো আচরণ করত।' ধর্ষকরা তার বোনের নগ্ন ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করেছিল উল্লেখ করে বড় ভাই বলেন, এ কারণেই সে মোবাইল হাতে কাউকে দেখলেই চিৎকার করে বলত_ 'ওরা আমার ছবি দেখছে।'

গ্রেফতারের পর বিথি আক্তার ইভা মেয়েটিকে বাসা থেকে ডেকে নেওয়ার কথা স্বীকার করে। একই সময় গ্রেফতারকৃতরা ওই স্কুলছাত্রীকে বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করেছিল বলেও বিথি আক্তার ইভা পুলিশকে জানায়।

ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শিবপুর ........... গ্রামে। তার পিতা দিনমজুর । সে সদর উপজেলা .................... উচ্চ বিদ্যালয়ের ............ শ্রেণীর ছাত্রী। গত ৬ ডিসেম্বর বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে বিথি আক্তার ইভা তার স্কুল সহপাঠীকে (ধর্ষিতা) নিয়ে যায় মধুপুরে মনির মালিকানাধীন কম্পিউটার দোকানে। সেখান থেকে তারা নির্জন পাহাড়ী এলাকার একটি বাড়িতে যায়। এরপর দিনে সেখানে তারা বিভিন্ন পাহাড়ী লোকেশনে ‘নিয়তি’ নামক নাটকের শুটিং করে। পরে পূর্বপরিকল্পনা মতো নুরুজ্জামান গেদার বাড়িতে যায়। রাতে মনিসহ শাজাহান আলী, নুরুজ্জামান গেদা, হারুনুর রশীদ তাকে গণধর্ষণ করে। এ সময় বিথি আক্তার ইভা পাশের রুমে অবস্থান নিয়ে জোরে গান বাজাতে থাকে। এভাবে ৩দিন তাকে ওই বাড়িতে আটকে রেখে গণধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, নরপশুরা এ ধর্ষণের ভিডিও চিত্রও ধারণ করে। 

No comments:

Post a Comment

Coveroo custom phone covers and cases

visitors

free counters