বাহরাইনের রাজধানী মানামায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনই বাংলাদেশি


বাহরাইনের রাজধানী মানামায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনই বাংলাদেশি। বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব মহিদুল ইসলাম (শ্রম) প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহত সবার পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন—চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর চরখিজিপুর এলাকার শাকির আহমেদের ছেলে নাজির আহমেদ, একই জেলার পটিয়া উপজেলার পাথুয়া গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে রশিদ আহমেদ, একই উপজেলার মারিয়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে জামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ওয়ালী গ্রামের নাছের মিয়ার ছেলে জসিম, একই উপজেলার কাইতলার শহীদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন ও স্বপন, একই উপজেলার বুড়িগ্রামের আবুল বাশারের ছেলে আনোয়ার, চাঁদপুরের কচুয়ার নওয়াপাড়ার আলমের দুই ছেলে শাহাদাত ও টিটো মিয়া এবং নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির কাশীপুর এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে ওসমান গনি। 
বাহরাইনের বাদশা হামাদ হাসপাতালের হিমাগারে তাঁদের মরদেহ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহিদুল ইসলাম।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাহরাইনের রাজধানী মানামায় একটি ভবনে আগুন লাগে। এতে ১৩ জন প্রবাসী শ্রমিক মারা গেছেন বলে দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়।
বাহরাইনের সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক জানিয়েছেন, গতকাল স্থানীয় সময় পৌনে চারটার দিকে রাজধানী মানামার মুখারকা এলাকার তিন তলার ভবনটিতে (শ্রমিক ক্যাম্প) আগুন লাগে। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পাশের ভবনে ছড়িয়ে পড়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ধসে পড়েছে। ভবনটি থেকে অনেক শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। 
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহিদুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা সেখানে যাই। অনেক রাত পর্যন্ত আমরা সেখানে ছিলাম। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আমাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর ভবনটি ধসে পড়ে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, ভবনটি ভাড়া নিয়ে পাকিস্তানিরা থাকতেন।’
ভবনটির একজন বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ওই ভবনে ২৮টি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কক্ষে পাকিস্তানি শ্রমিকেরা থাকতেন। আর বাকি কক্ষগুলোতে থাকতেন বাংলাদেশি শ্রমিকেরা। 

No comments:

Post a Comment

Coveroo custom phone covers and cases

visitors

free counters