১) শরীরের অবস্থা ভাল না বিধায় সারারাত শাহবাগে অবস্থান করা সম্ভব হচ্ছে না। এই জন্য খুবই খারাপ লাগছে। কয়েকদিন আগে মৃত্যু জড়িয়ে ধরেছিল, চেপে ধরেছিল, চুম্বন করেছিল। একদম পাশ থেকে মৃত্যুকে চলে যেতে দেখেছি। সেই স্পর্শ এখনও শরীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাই রাতে থাকতে পারছি না। যারা শাহবাগে সারারাত রয়েছেন, তাদের জন্য শ্রদ্ধা।
২) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট বোন লাকি আক্তারকে (যার অনুরোধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা আন্দোলন নিয়ে ব্লগ লিখে হাজতে আটক ছিলাম) নিয়ে কয়েকটি জামাতি পেইজ কুৎসা রটাচ্ছে। রাজপথের এমন সংগ্রামী যোদ্ধা থাকলে জামাত শিবিরের প্যান্ট ভিজে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। লাকি আক্তারকে সংগ্রামী অভিনন্দন, এবং জামাতিদের রক্ত আমাশয় ছুটিয়ে দেয়ায় শুভেচ্ছা।
৩) জামাত শিবিরের নানা ধরণের প্রপাগাণ্ডা চলছে। ওসব নিয়ে খুব উত্তেজিত হবার বা ওদের আমল দেবার কোন প্রয়োজন নেই। নিজেদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন থাকুন। আমরা এক থাকলে ওদের প্রপাগাণ্ডা হালে পানি পাবে না। ওরা নানা প্রপাগাণ্ডা চালাবে, সেসব নিয়ে বিরোধীতা করে ওদের প্রপাগাণ্ডাকে সফল করে দেবেন না। ওরা চাচ্ছে এইনিয়ে আমরা কথা বলি, ওদের নিয়ে আলোচনা মানেই হচ্ছে ওদের প্রপাগাণ্ডায় হাওয়া দেয়া। কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে জামাত শিবিরের প্রপাগাণ্ডা নিয়ে লাফালাফি করছে। ওসব নিয়ে না কথা বলে আন্দোলনের গতি নিয়ে কথা বলুন, ওয়ার্ল্ড মিডিয়াতে চাপ সৃষ্টি করুন। কীভাবে আরো মানুষ জমায়েত করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
৪) মোটামুটি সকলেই এই আন্দোলনের সাথে আছে, শুধুমাত্র জামাত শিবির এবং কিছু সরকারী পেইড ব্লগার নানা ধরণের উষ্কানী দিচ্ছে। তারা কয়েকজন একটিভিস্টকে নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে, আন্দোলন ধ্বংসের চেষ্টা করছে। তাদের পাত্তা না দিলেও চলবে আপাতত। জনস্রোতে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
৫) এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। যেই তারুণ্য আর উদ্দাম নিয়ে এখন পর্যন্ত শাহবাগে বিপ্লব চলছে, তা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত থামানো যাবে না। ভাববেন না গতকাল গিয়েছিলাম তাই আজ আর যাবার প্রয়োজন নেই, আপনার প্রতিদিন আসতে হবে। হ্যাঁ, প্রতিদিন। সম্ভব হলে সারারাত থাকুন সেখানে।
৬) এখন আর তরুন ছেলে মেয়েরাই শুধু আসবে ভাবলে চলবে না। আপনার পরিবার পরিজন সবাইকে নিয়ে চলে আসুন। বাবা মা ভাই বোন সবাইকে নিয়ে কাল উপস্থিত থাকুন।
৭) আন্দোলন চালিয়ে যেতে যারা দিনরাত সেখানে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য খাদ্য এবং পানি প্রয়োজন। আপনাদের যা কিছু আছে আপনারা নিয়ে চলে আসুন। বাসা থেকে খাবার বানিয়ে আনুন। এখানে যারা আছেন তারা সকলেই আপনার ভাই বোন বন্ধু। আপনার দুপুরের খাবার এখানে নিয়ে আসুন, সবাই ভাগ করে খেয়ে নেবো।
৮) সবচাইতে জরুরী, আন্দোলনকে কেউ কেউ আওয়ামী লীগের বলে চালাবার চেষ্টা করছে। এবং সরকার থেকেও চেষ্টা হচ্ছে আন্দোলন নিয়ন্ত্রনের বা আন্দোলনকে নিজেদের বগলে ঢোকাবার। এই আন্দোলন জনগণের, কোন দলের নয়। জনগণ যতক্ষণ এক আছে কেউ এই আন্দোলনে দলীয় রাজনীতি ঢুকাতে পারবে না। যারা বিষ ঢুকাবার তালে আছে, তাদের সম্পর্কে সচেতন হোন।
৯) এই আন্দোলনে কোন নেতা নেই, আপনার কাউকে পোছার দরকার নেই। আপনিই এই আন্দোলনের নেতা এবং নায়ক। নিজের অস্তিত্ব এই স্রোতের ভেতরে জানান দিতে থাকুন।
আসিফ মহিউদ্দীন
from Shahabag, Dhaka.
2.00am
২) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট বোন লাকি আক্তারকে (যার অনুরোধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা আন্দোলন নিয়ে ব্লগ লিখে হাজতে আটক ছিলাম) নিয়ে কয়েকটি জামাতি পেইজ কুৎসা রটাচ্ছে। রাজপথের এমন সংগ্রামী যোদ্ধা থাকলে জামাত শিবিরের প্যান্ট ভিজে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। লাকি আক্তারকে সংগ্রামী অভিনন্দন, এবং জামাতিদের রক্ত আমাশয় ছুটিয়ে দেয়ায় শুভেচ্ছা।
৩) জামাত শিবিরের নানা ধরণের প্রপাগাণ্ডা চলছে। ওসব নিয়ে খুব উত্তেজিত হবার বা ওদের আমল দেবার কোন প্রয়োজন নেই। নিজেদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন থাকুন। আমরা এক থাকলে ওদের প্রপাগাণ্ডা হালে পানি পাবে না। ওরা নানা প্রপাগাণ্ডা চালাবে, সেসব নিয়ে বিরোধীতা করে ওদের প্রপাগাণ্ডাকে সফল করে দেবেন না। ওরা চাচ্ছে এইনিয়ে আমরা কথা বলি, ওদের নিয়ে আলোচনা মানেই হচ্ছে ওদের প্রপাগাণ্ডায় হাওয়া দেয়া। কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে জামাত শিবিরের প্রপাগাণ্ডা নিয়ে লাফালাফি করছে। ওসব নিয়ে না কথা বলে আন্দোলনের গতি নিয়ে কথা বলুন, ওয়ার্ল্ড মিডিয়াতে চাপ সৃষ্টি করুন। কীভাবে আরো মানুষ জমায়েত করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
৪) মোটামুটি সকলেই এই আন্দোলনের সাথে আছে, শুধুমাত্র জামাত শিবির এবং কিছু সরকারী পেইড ব্লগার নানা ধরণের উষ্কানী দিচ্ছে। তারা কয়েকজন একটিভিস্টকে নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে, আন্দোলন ধ্বংসের চেষ্টা করছে। তাদের পাত্তা না দিলেও চলবে আপাতত। জনস্রোতে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
৫) এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। যেই তারুণ্য আর উদ্দাম নিয়ে এখন পর্যন্ত শাহবাগে বিপ্লব চলছে, তা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত থামানো যাবে না। ভাববেন না গতকাল গিয়েছিলাম তাই আজ আর যাবার প্রয়োজন নেই, আপনার প্রতিদিন আসতে হবে। হ্যাঁ, প্রতিদিন। সম্ভব হলে সারারাত থাকুন সেখানে।
৬) এখন আর তরুন ছেলে মেয়েরাই শুধু আসবে ভাবলে চলবে না। আপনার পরিবার পরিজন সবাইকে নিয়ে চলে আসুন। বাবা মা ভাই বোন সবাইকে নিয়ে কাল উপস্থিত থাকুন।
৭) আন্দোলন চালিয়ে যেতে যারা দিনরাত সেখানে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য খাদ্য এবং পানি প্রয়োজন। আপনাদের যা কিছু আছে আপনারা নিয়ে চলে আসুন। বাসা থেকে খাবার বানিয়ে আনুন। এখানে যারা আছেন তারা সকলেই আপনার ভাই বোন বন্ধু। আপনার দুপুরের খাবার এখানে নিয়ে আসুন, সবাই ভাগ করে খেয়ে নেবো।
৮) সবচাইতে জরুরী, আন্দোলনকে কেউ কেউ আওয়ামী লীগের বলে চালাবার চেষ্টা করছে। এবং সরকার থেকেও চেষ্টা হচ্ছে আন্দোলন নিয়ন্ত্রনের বা আন্দোলনকে নিজেদের বগলে ঢোকাবার। এই আন্দোলন জনগণের, কোন দলের নয়। জনগণ যতক্ষণ এক আছে কেউ এই আন্দোলনে দলীয় রাজনীতি ঢুকাতে পারবে না। যারা বিষ ঢুকাবার তালে আছে, তাদের সম্পর্কে সচেতন হোন।
৯) এই আন্দোলনে কোন নেতা নেই, আপনার কাউকে পোছার দরকার নেই। আপনিই এই আন্দোলনের নেতা এবং নায়ক। নিজের অস্তিত্ব এই স্রোতের ভেতরে জানান দিতে থাকুন।
আসিফ মহিউদ্দীন
from Shahabag, Dhaka.
2.00am