বাংলাদেশের কোনো দেশ জয়ের উচ্চাভিলাস নেই, থাকতেই পারে না। প্রধান প্রতিবেশী দেশ ভারত এতই শক্তিশালী যে অস্ত্রবলে সে দেশের আগ্রাসন ঠেকানোও বাংলাদেশের জন্য সম্ভব নয়। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং সমরাস্ত্রের প্রয়োজন শুধু এজন্য যে, ছোট-বড় কোনো প্রতিবেশী দেশ আগ্রাসন করলে প্রথম চোটের আঘাত প্রতিহত করা, বিশ্ব সমাজের হস্তক্ষেপ পর্যন্ত সময়ক্ষেপ করা। তাছাড়া কিছু আনুষ্ঠানিক ভূমিকাও থাকে সশস্ত্র বাহিনীর। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের হয়ে বিভিন্ন দেশে শান্তি রক্ষার সম্মানজনক দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। কিন্তু এ ভূমিকা চিরস্থায়ী হবে না, আর বাংলাদেশ ভাড়াটে সৈন্যের দেশ হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেতে চায় না।
সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে নৌবাহিনীর ভূমিকাই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ; সুস্পষ্ট ও আপাত। আমাদের বিশাল উপকূলীয় সমুদ্র এবং সমুদ্র সোপান এলাকার তেল-গ্যাস ও মত্স্য সম্পদের ওপর বিদেশিদের লোলুপদৃষ্টি প্রতিনিয়ত। সেসব সম্পদ এবং আমাদের সামুদ্রিক সীমানা যে কোনো মূল্যে লক্ষ্য করতেই হবে। নৌবাহিনীকে যথোপযুক্ত শক্তিশালী করা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কিম্বা দয়াদাক্ষিণ্য দেখানোর জন্য সাড়ে চার শতাংশ হারের চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কোনো দেশ থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় শুধু মূর্খতারই পরিচয় দেয়। এসব অস্ত্র বাংলাদেশের জন্য আদৌ প্রয়োজনীয় কিম্বা উপযোগী কিনা সে কথা বিবেচনা করা হয়েছে বলেও মনে হয় না।
সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে নৌবাহিনীর ভূমিকাই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ; সুস্পষ্ট ও আপাত। আমাদের বিশাল উপকূলীয় সমুদ্র এবং সমুদ্র সোপান এলাকার তেল-গ্যাস ও মত্স্য সম্পদের ওপর বিদেশিদের লোলুপদৃষ্টি প্রতিনিয়ত। সেসব সম্পদ এবং আমাদের সামুদ্রিক সীমানা যে কোনো মূল্যে লক্ষ্য করতেই হবে। নৌবাহিনীকে যথোপযুক্ত শক্তিশালী করা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কিম্বা দয়াদাক্ষিণ্য দেখানোর জন্য সাড়ে চার শতাংশ হারের চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কোনো দেশ থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় শুধু মূর্খতারই পরিচয় দেয়। এসব অস্ত্র বাংলাদেশের জন্য আদৌ প্রয়োজনীয় কিম্বা উপযোগী কিনা সে কথা বিবেচনা করা হয়েছে বলেও মনে হয় না।
No comments:
Post a Comment